শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও সুনাগরিক গড়ার প্রত্যয়ে পিছিয়ে পড়া ছায়া সুনিবির শ্যামলীময় ঘেরা আমার গুঠিয়ায় যখন দেখলাম উচ্চ শিক্ষা বিস্তারের কোন প্রতিষ্ঠান নাই। উচ্চ শিক্ষা নিতে কেউ নদী পেড়িয়ে উজিরপুর কিংবা দূরের পথ চাখার কিংবা বানারীপাড়ায় যেতে হতো। যার জন্য এলাকার অনেক দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীর পড়াশুনা থেমে যায়। সেই সময় আমার মনের সুপ্ত বাসনায় ১৯৯৮ সালে উজিরপুর থানা সদর থেকে সন্ধ্যা ও দোয়ারিকা নদী বেষ্ঠিত এই এলাকায় অনেক প্রতিবন্ধকতা ও প্রতিকুলতা উপেক্ষা করে সম্পূর্ন নিজের অর্থায়নে ও ইচ্ছায় প্রতিষ্ঠা করি গুঠিয়া আইডিয়াল ডিগ্রি কলেজ, যা আজ মহীরুহ। সন্তানের ন্যায় সফলতার দীর্ঘ যাত্রা আমাকে আনন্দে উদ্বেলিত করে। আমি অপার বিষ্ময়ে চোখ মেলে নন্দন কাননের সামনে দাড়িয়ে উচ্ছ্বাস ভরা হৃদয়ে চেয়ে থাকি।
গুঠিয়া আইডিয়াল ডিগ্রি কলেজ ১৯৯৮ সনের ৯ জানুয়ারী তৎকালীন বাংলাদেশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব জনাব মোঃ সিরাজ উদ্দিন আহমেদ এ কলেজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছেন। গুঠিয়া আইডিয়াল ডিগ্রি কলেজ অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের আশ্রয়স্থল। পাঠের মান উন্নত, যোগ্য ও একান্ত-সহযোগী পরিচালনা পরিষদের সুষ্ঠ ব্যবস্থাধীনে কলেজটির অগ্রগতি প্রশংসনীয়। কত্যর্বরত শিক্ষক মহোদয়গণের আন্তরিকতা এবং শিক্ষার্থীদের নিষ্ঠায় কলেজটি সার্থকতার সিঁড়ির নাগারে পৌঁছে গেছে। আগামী শতাব্দীর বিশ্বে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হলে আধুনিক প্রযুক্তির শিক্ষাকে গুরুত্ব দিতে হবে। একই লক্ষ্যে গুঠিয়া আইডিয়াল কলেজের অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের যুগোপযোগী জ্ঞানার্জনে আত্মনিয়োগ করতে হবে। পাশাপাশি আগামী দিনের নাগরিকদের সঠিকভাবে গড়ে তুললে শ্রদ্ধেয় শিক্ষক-শিক্ষিকাগণকে পালন করতে হবে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা।
এ কলেজকে সার্থক সুষ্ঠ ও সর্বাঙ্গীন সুন্দর করে তোলার পেছনে যারা আমাকে সহযোগিতা করেছেন তাদেরকে আমি ধন্যবাদ জানাই। তাদের কাছে আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। তারা ভবিষ্যতে আমাকে সহযোগিতা করবেন এবং আমার সাথে থেকে কাজ করবেন এটা আমার প্রত্যাশা।
এস.সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু
প্রতিষ্ঠাতা
গুঠিয়া আইডিয়াল ডিগ্রি কলেজ
উজিরপুর, বরিশাল।