GUTIA IDEAL DEGREE COLLEGE

গুঠিয়া আইডিয়াল ডিগ্রি কলেজ

EIIN: 101096
SCROLLING TEXT

History of the college

বরিশাল-স্বরুপকাঠী মহাসড়কের বরিশাল থেকে 17-18 কিলোমিটার পশ্চিমে উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নের একটি শান্ত -সিগ্ধতার কোলে চাংগুরিয়া নিবাসী আলহাজ্ব মরহুম আবদুল মজিদ সরদারের সুযোগ্য মেজ ছেলে এস.সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু একান্ত নিজস্ব অর্থে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। আলো আধাঁরে এ অঞ্চল ঘিরে রয়েছে 9/10টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও 4/5টি দাখিল মাদরাসা, কিন্তু উচ্চ শিক্ষার জন্য কোন কলেজ ছিল না। সে অপূর্নতা যোগান দিতে দানবীর এস.সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু তাঁর অকৃপন হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। ১৯৯৮ সালের ৯ জানুয়ারী প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এ-ই গুঠিয়া আইডিয়াল কলেজ যা ২০০৪ সালে ডিগ্রি স্তরে উন্নিত হয়েছে। ২০০৬ ও ২০০৮ সালে সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরিক্ষায় বরিশাল বোর্ডের মধ্যে ২য় স্থানদখল করে কলেজটি ইতোমধ্যে সকলের দৃষ্টি কুড়িয়েছেন। সুবিন্যাস্ত শ্রেনীকক্ষ, সমৃদ্ধ লাইব্রেরী, সুসজ্জিত বিজ্ঞানাগার, প্রশস্ত খেলার মাঠ এবং দক্ষ শিক্ষকমন্ডলী কলেজটির গৌরব।

 

শিক্ষার্থীরা তাদের সামার্থ্য মতে ভর্তি হতে এবং চুড়ান্ত পরীক্ষার ফরম পূরন করতে পারে, দেয়া হয় প্রয়োজনমতে বিনামূল্যে পাঠ্যবই। প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা, মিলাদ-মাহফিল এবং পালিত হয় সরকারী অনুষ্ঠানগুলো। এ কলেজ থেকে যে সকল শিক্ষার্থী ভালো রেজাল্ট করে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পেরেছে, প্রতিষ্ঠাতা তাদের আর্থিক সমর্থন দিয়ে থাকেন। অর্থ – বার্ষিক, বার্ষিক, প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষার বাইরেও রয়েছে প্রতিমাসে অগ্রগতি মূল্যায়ন পরীক্ষা ও প্রতি বিষয়ের টিউটেরিয়াল ও মেধা যাচাইয়ের ব্যবস্থা। কলেজের সকল শিক্ষকদের ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হয়। গ্রুপভিত্তিক শিক্ষকদের ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়িতে গিয়ে তাদের পারিবারিক ও শিক্ষা অগ্রগতি সম্পর্কে খোজ- খবর নিয়ে থাকেন। প্রতিটি পরিক্ষার ফলাফল প্রকাশের দিন অভিভাবকদের আমন্ত্রন জানানো হয়। সে ছাড়া বচরে দু ‘বার শিক্ষক-অভিভাবক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। কলেজের সুশৃঙ্খল ব্যবস্থা এবং শিক্ষার্থীদের মননশীলতা বিকাশের জন্য ইনিফর্ম ব্যবস্থা আছে, সেছাড়াও আছে গান শেখার ব্যবস্থাসহ ইংরেজি শেখার “Tofel" পদ্ধতি। কলেজের উপস্থিতির উপরে রয়েছে পুরষ্কারের ব্যবস্থা। 

 

“শিক্ষা, শান্তি, ঐক্য, প্রগতি” এ শ্লোগান দিয়ে জয়যাত্রার এই কলেজটি আজ দৃষ্টি আকর্ষনকারী সৌন্দর্য শোভার পরিনত হয়েছে যা পথচারী মাত্রেই প্রত্যক্ষ করেছেন।